আ,হ জুবেদ: “ বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর ” জীবনানন্দ দাশের সেই চির অমর কবিতা আজও যেনো মনে হয় জীবন্ত, আজও যেনো মনে হয় সেই কথার যথার্থতা প্রতীয়মান সর্বত্র।
এবার ১৪২৩ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখের আয়োজন দেখে মনে হয়েছে তেমনটি’ই, গত ১৪ই এপ্রিল ২০১৬ইং রোজ বৃহস্পতিবার কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলার মুখ দেখেছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ১৪২৩ বঙ্গাব্দ বরণ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখের বাংলাদেশ সন্ধ্যা নামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান দূতাবাসে অনুষ্টিত হয়েছে।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে এবারের পহেলা বৈশাখে বাঙালি জাতির আবহমান কালের কৃষ্ট, সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বর্ণাঢ্য আয়োজক দূতাবাস হলেও এটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন রফিকুল ইসলাম ভুলু।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে বাংলার মুখায়বে রূপান্তরিত করতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম ভুলু এবং তার পরিবার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন।
একজন ব্যক্তি প্রবাসে হাজারো কর্মব্যস্ততার ফাঁকে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে একাধারে অনেক কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করার কৃতিত্ব ও সফলতা রফিকুল ইসলাম ভুলুর অর্জনের ঝুলিতে অনেক রয়েছে।
এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি, কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে এবার দেখা গেলো পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দূতাবাসকে বাঙালি জাতির আবহমান কালের কৃষ্ট, সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বর্ণাঢ্য আয়োজনে রীতিমতো বাংলার আসল চেহারা ফুটিয়ে তুলেছিলেন রফিকুল ইসলাম ভুলু।
বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের প্রায় প্রতিটি অনুষ্টানে লক্ষ্য করা গেছে যে, রফিকুল ইসলাম ভুলু তিনি নিজেকে বাংলার পতাকা রঙের কাপড়ের পোশাকে সবুজ এবং লালের মিশ্রণে তিনি হয়ে যান লাল-সবুজের পোশাক পরিহিত এ এক অন্য রকম দেশপ্রেমিক ভুলু; মূলত এটি কুয়েতে অন্য কোনো প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে কখনো প্রত্যক্ষ করা যায়নি।
এবারো পহেলা বৈশাখে রফিকুল ইসলাম ভুলুর পোশাক পরিধান ছিল অন্যান্য প্রবাসী বাঙালিদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
তবে এবার বৈশাখী সাজে একদম খাটি বাঙালিয়ানা পোশাকে শুধু’ই নিজে সেজে আসেননি, এসেছিলেন বৈশাখী পোশাকে সহধর্মিনী, মেয়ে ও মেয়ের স্বামী।
কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যেমন করে বৈশাখী পোশাকে রফিকুল ইসলাম ভুলুর পরিবার এসেছিলেন; ঠিক তেমন’ই করে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তথা সত্যিকারের দেশ প্রেমিকের ন্যায় তিনি নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন একখানি বাংলার মুখ কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে।
রফিকুল ইসলাম ভুলু ১৯৮০ইং সনে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র কুয়েতে পাড়ি জমিয়েছিলেন। আসলে প্রবাস জীবনের প্রথমার্ধে উনার একটু-আধটু সমস্যা হলেও কিছুদিন পর উনাকে আর খুবেকটা পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন উনি একজন প্রতিষ্টিত লন্ড্রি ব্যবসায়ী।
রফিকুল ইসলাম ভুলু স্বপরিবারে কুয়েতে আছেন। উনার সুখ, শান্তির নীড়ে সহধর্মিনী ছাড়াও দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে রয়েছে।